এ সময় রাকিব হাসান নামে এক শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বলেন, স্লোগানটি ছিল মূলত ফ্যাসিবাদ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে। বিগত ছয় বছরে তারা দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি। প্রকল্পের মেয়াদ চারবার বৃদ্ধি করেও কাজ শেষ করতে পারেনি। উল্টো তারা নিজেদের পকেট ভারীসহ রীতিমতো পুকুর চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। যা কোনভাবেই উপদেষ্টা নাহিদকে কিংবা অন্তর্বর্তী সরকারকে ইঙ্গিত করা হয়নি।
তিনি বলেন, দুঃখের বিষয় হল সাবেক স্বৈরাচার সরকারের প্রেতাত্মারা এটা নিয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই- আপনারা আমাদের ঐক্যের ফাটল ধরাতে পারবেন না। আমরা দেশের স্বার্থে স্বৈরাচার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলবো।এ সময় আন্দোলনের মুখপাত্র তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, ফেসবুকের কিছু পেজে বিষয়টি ভুলভাবে প্রচার করা হচ্ছে। মূলত স্বৈরাচারের দালালরাই এটিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে।
এর আগে গত সোমবার সচিবালয়ের সামনে আবাসন সংকট সমাধানসহ ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সেখানে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শিক্ষা উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠে। শিক্ষার্থীদের ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ স্লোগানটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা দেখা যায়। পরবর্তীতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, তারা উপদেষ্টা নাহিদকে নয় বরং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছিল।দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের স্লোগান একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। শিক্ষার্থীরা সাধারণত সামাজিক ন্যায়, মূল্যবোধ ও সততার পক্ষে আওয়াজ ওঠায়। তারা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং সচেতনতা বাড়াতে স্লোগান দেয়। উদাহরণস্বরূপ, তারা "দূর্বৃত্তের বিরুদ্ধে আমরা," "দুর্নীতি নয়, শিক্ষা হোক" ইত্যাদি স্লোগান ব্যবহার করতে পারে।
এমন আন্দোলনগুলি সাধারণত গণতন্ত্র, সমাজের স্বচ্ছতা এবং শাসকের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার পাশাপাশি তরুণদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে।